• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

ছাত্রলীগ সভাপতিসহ চক্র লুটে নিচ্ছে গোমতী চরের মাটি

  • ''
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

নদীমাতৃক দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। আর এই নদ-নদীর কারণেই আমাদের রয়েছে সুন্দর পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য। কিছু ভূমিখেকো লুটেরাদের কারণে আজ হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। ছবিটি প্রথম দেখায় সারি সারি পুকুর মনে হলেও আসলে এটি হলো গোমতী নদীরচর কাটা ডোবা। এই নদীর পাড় ঘেঁষে অনেক ফসলি জমি ও গাছ-পালা থাকলেও মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিনসহ একাধিক চক্রের থাবায় জীববৈচিত্র ও পরিবেশ বিলীন হয়ে নদীর বুকের সবুজচর এখন পরিণত হয়েছে ছোট ছোট ডোবায়। প্রতিদিন শতশত ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে প্রায় লাখ লাখ টাকার গোমতী নদীর চরের উর্বর মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। চরের এসব উর্বর মাটি আশেপাশের ইটভাটা গুলোতে বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। কয়েক বছর আগেও যেখানে নানান রকমের সবজি চাষ করতো কৃষকরা সেগুলো এখন পরিণত হয়েছে ডোবা জলাশয়ে।

উপজেলার ধামঘর, গুঞ্জর, দক্ষিণ ত্রিশ, বাখরাবাদসহ বেশকয়েকটি স্পটে গোমতি নদীর চর থেকে এই মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বহীনতার কারণে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গোমতী চরের মাটিখোকো সিন্ডিকেট। ক্রমাগত ভাবে মাটি লুটের ফলে নড়বড়ে হয়ে গেছে বেরিবাঁধ।

গোমতী নদীর চরের মাটি লুটের বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিন মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শুধু আমি একা নই, আরো ১০/১২জন এই মাটি কাটার সাথে জড়িত। তিনি সাংবাদিকের সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দিন বলেন, গোমতী চরের মাটিকাটা বন্ধ করতে দ্রুতই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads